সব আদম
সব ( সম্পত্তি, ব্যয়) - বৃদ্ধি - Dr
- হ্রাস - Cr
আদম ( আয়,দায় ও মালিকানা সত্ত্বঃ)
- বৃদ্ধি - Cr
-হ্রাস - Dr
হিসাব সমীকরণ ঃঃ A= L+ OE
এখানে, A = Assets (সম্পত্তি), L = Liabilities (দায়)
OE = Owner’s Equity (মালিকানা স্বত্ত্ব)
Assets (A) = Liabilities (L) + Owner’s Equity (OE)
অর্থাৎ সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব
Owner’s Equity (OE) মালিকানা স্বত্ব = Capital (C) + Revenue (R) + Additional Capital (A) – Expense (E) – Drawings (D)
(OE) = C + R + A – E – D
মালিকানা স্বত্ব = মুলধন +আয় + অতিরিক্ত মূলধন – ব্যয় – উত্তোলন
হিসাব সমীকরণটি সম্প্রসারিত করে লেখা যায়ঃ A = L + (C + R + A – E – D)
Assets – সম্পদ
Liabilities –দায়
Capital – মুলধন
Revenue – আয়
Additional Capital – অতিরিক্ত মূলধন
Expense – ব্যয়
Drawings – উত্তোলন
সম্পদঃ
সম্পত্তি হলো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন এবং কোন বস্তু যা প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যত সুবিধা প্রদান করবে । সম্পত্তি সাধারণত মূলধনজাতীয় ব্যয় থেকে সৃষ্টি হয় এবং ভবিষ্যত সুবিধা প্রদান করে । সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে । সম্পদ হলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পরিসম্পদ । সম্পত্তি বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং সম্পত্তি হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।
সম্পদসমূহঃ নগদ টাকা, ব্যাংক জমা, দেনাদার, প্রাপ্য বিল, মজুদ পণ্য, আসবাবপত্র, দালানকোঠা, বকেয়া আয়, অগ্রিম ব্যয়, সুনাম, প্যাটেন্ট, ট্রেডমার্ক, লাভ-লোকসান আবণ্টন হিসাবের ডেবিট উদ্বৃত্ত ইত্যাদি।
দায়ঃ
দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে। কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদের উপর ঐ প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় পক্ষের দাবির সমষ্টিকে দায় বলে। দায় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং দায় হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে।
যেমন- বিবিধ পাওনাদার, প্রদেয় বিল, বকেয়া ব্যয়, অগ্রিম আয় বা অনুপার্জিত আয়, ব্যাংক জমাতিরিক্ত হিসাব ঋণপত্র, বন্ধকী ঋণ, ইত্যাদি।
মালিকানা সত্ত্বঃ
সম্পত্তির বিপরীতে মালিকের দাবীকে মালিকানা স্বত্ত্ব বা মূলধন বলে। স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সম্পদের উপর মালিকের দাবির পরিমাণকে মালিকানা স্বত্ব বলে। স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং স্বত্বাধিকার হ্রাস পেলে ডিবিট করতে হবে ।
যেমন- শেয়ার মূলধন, শেয়ার অধিহার, জমাকৃত মুনাফা, সাধারণ সঞ্চিতি, বিশেষ সঞ্চিতি, ইত্যাদি।
ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়ে স্বর্ণসূত্র / সনাতন পদ্ধতি
লেনদেনকে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করার জন্য দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে নিয়ম বা সূত্র অনুযায়ী ডেবিট এবং ক্রেডিট করতে হয় । ডেবিট এবং ক্রেডিট করার প্রাচীনতম নিয়মকে স্বর্ণসূত্র (Golden Rule) বলে । এ সূত্র অনুযায়ী ডেবিট এবং ক্রেডিট করার জন্য হিসাবকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । নিম্নে এই তিন শ্রেণির হিসাবের নামসহ এবং ডেবিট – ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়ম আলোচনা করা হলঃ
১. ব্যক্তিবাচক হিসাবঃ
গ্রহীতা ==== ডেবিট
দাতা ===== ক্রেডিট
২. সম্পত্তিবাচক হিসাবঃ
সম্পত্তি আসলে ====ডেবিট
সম্পত্তি গেলে / কমলে =====ক্রেডিট
৩. আয়–ব্যয় বাচক বা নামিক হিসাবঃ
সকল খরচ বা ক্ষতি ====ডেবিট
সকল আয় বা লাভ =====ক্রেডিট
বিভন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি
সম্পদ হিসাবঃ সম্পত্তি সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
সম্পদ বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . . . . ডেবিট
সম্পদ হ্রাস পেলে . . . . . . . . . . . . ক্রেডিট
দায় হিসাবঃ দায় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
দায় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . . . . ডেবিট
দায় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . . . . ক্রেডিট
স্বত্বাধিকার হিসাবঃ স্বত্বাধিকার সাধারনত ক্রেডিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
স্বত্বাধিকার হ্রাস পেলে . . . . . . . . . . . . ডেবিট
স্বত্বাধিকার বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . . . . ক্রেডিট
আয় হিসাবঃ আয় সাধারণত ক্রেডিট ব্যালেন্স ( জের) নির্দেশ করে।
আয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . . . . ডেবিট
আয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . . . . ক্রেডিট
ব্যয় হিসাবঃ ব্যয় সাধারণত ডেবিট ব্যালেন্স (জের) নির্দেশ করে।
ব্যয় বৃদ্ধি পেলে . . . . . . . . . . . . ডেবিট
ব্যয় হ্রাস পেলে . . . . . . . . . . . . ক্রেডিট
0 Comments